গজারিয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় গুলিবর্ষণ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মুন্সিগঞ্জ | 2025-02-27 17:16:55

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে নদীর পাড় ঘেঁষে বালু উত্তোলন করার সময় বাধা দেওয়ায় এলাকাবাসীকে উদ্দেশ্য করে দুই দফায় প্রায় অর্ধশত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে সন্ত্রাসীরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে বারোটার দিকে উপজেলার ষোলআনী বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় নৌকা থেকে ঝাঁপ দিয়ে পলাশ (৩৫) নামে একজন আহত হয়েছে। সে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে বলে জানা গেছে। একটি ড্রেজার আটক করেছে এলাকাবাসী

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহত পলাশ বলেন, ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে একটি অবৈধ বালুমহাল থাকলেও সন্ধ্যা হলেই তারা ড্রেজার নিয়ে নদীর তীরে চলে আসে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে বারোটার দিকে কয়েকটি ড্রেজার নিয়ে ষোলআনী বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করছিল তারা। এ সময় একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মান্নান, লালু, সৈকত, বাবু, আমজাদ, আলী আকবর, বিল্লাল, সানজিদ, বাকি বিল্লাহসহ কয়েকজন মহড়া দিচ্ছিল।

এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দিতে গেলে তারা এলাকাবাসীকে উদ্দেশ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। তখন তারা প্রায় ১৭ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। গুলি থেকে বাঁচতে আমি নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আহত হই। এ সময় উত্তেজিত জনতা 'আনাস বিন জুবায়ের ড্রেজিং প্রকল্প' নামে একটি ড্রেজার আটক করে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কাউসার হোসেন বলেন, প্রথম দফা গুলিবর্ষণের পর স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে নদীর পাড়ে জড়ো করা হয়। স্থানীয় লোকজন সন্ত্রাসীদের একটি ড্রেজারের অবরুদ্ধ করে রাখার কিছুক্ষণ পরে ইঞ্জিন চালিত আরেকটি ট্রলারে একদল সন্ত্রাসী এসে ফিল্মি স্টাইলে গুলি করতে করতে অবরুদ্ধ সন্ত্রাসীদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ উদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নদীর এ এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। আজকে ফিল্মি স্টাইলে এলাকাবাসীকে উদ্দেশ্য করে প্রায় অর্ধশত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে তারা।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, এলাকাবাসীকে উদ্দেশ্য করে গুলিবর্ষণ করার ঘটনার সত্যতা পেয়েছি আমরা। বেশ কয়েকজন আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। বিষয়টি আমি নৌ পুলিশকেও জানিয়েছি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

এ বিষয়ে সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলমের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।

গুলিবর্ষণ সম্পর্কে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই আপনারা প্রথম আমাকে জানালেন। আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর