মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের বাজারে গরুর মাংসের চাহিদা থাকায় বাইরের দেশগুলো বাংলাদেশে মাংস রফতানিতে আগ্রহী। তবে আমদানি নয়, দেশে যারা উৎপাদনের সাথে জড়িত তাদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
রোববার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে সদ্য সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষে ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা’ কর্মশালায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সবাই তাদের দেশের পণ্য রফতানি করতে চায়। সেটা তো তাদের কোনো দোষ না। তারা দেখছে আমাদের বাজারে গরুর মাংসের দাম আছে, মানুষের কাছে চাহিদাও আছে, প্রয়োজনও আছে। সেটা যথেষ্ট মানে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না, সেটা পাওয়া না যাওয়ার কারণে অনেক দেশ আছে যারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মিং করে তারা সাবসিটি দিতে চায়।
তিনি বলেন, আমাদের যারা জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা আছেন এবং যারা কাজ করছেন তাদের যে চাহিদা সেটা মনে হয় আমাদের খুব মনোযোগ দিয়ে শোনা দরকার। তাদের চাহিদা মাফিক আমরা যদি সরবরাহ করতে পারি, প্রয়োজনগুলো মেটাতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে কিন্তু এই প্রাণিজীয় আমিষের ঘাটতি থাকবে না আমি মনে করি।
প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
কর্মশালায় ছয়টি সেশনে ৩৫টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন বিশেষজ্ঞ এবং খামারিরা অংশ নেন।