নেত্রকোনায় যুবককে হত্যার দায়ে আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

, আইন-আদালত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা | 2025-02-25 19:08:56

নেত্রকোনায় পরকীয়ার জেরে মামুন মিয়া নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার দরুনবালী গ্রামে আশিক মিয়া, দরুনবালী গ্রামে সিদ্দিকুর রহমান, হুমায়ুন কবির হাবলু, বিরাম খাঁ, রুবেল মিয়া, হুমায়ুন কবির, মৌজেবালী গ্রামের মোঃ ফজলুল হক ও জুয়েল মিয়া।

আদালত সূত্রে, নেত্রকোনা সদরের দরুনবালী গ্রামে ২০১৯ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে মামুন মিয়া রাতের খাবার শেষে পাশের চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন গ্রামের এক পুকুরপাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ নিহতের মা ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামতের ভিত্তিতে হুমায়ুন কবির হাবলু নামে একজনকে আটক করে। আটকের পরপরই মামুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায় স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো সাতজনকে সনাক্ত করে পুলিশ।

এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া একটি সানগ্লাসের সূত্র ধরে এই মামলার প্রধান আসামি মোঃ আশিক মিয়াকে শনাক্ত করে পুলিশ।

মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, মূলত নিহত মামুন মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তারের সাথে আসামি আশিক মিয়ার অবৈধ সম্পর্কের জেরে এই থেকেই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন আশিক মিয়া। ঘটনার দিন ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ দিবাগত রাতে আশিক মিয়া সহ আটজন মিলে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে পুকুরের পাশের একটি ধান খেতে নিয়ে মামুন মিয়াকে গলাচিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ পাশের পুকুর পাড়ে ফেলে রাখেন বলে আসামিদের স্বীকারোক্তি আদালতে প্রমাণিত হয়। এবং সুরতাল রিপোর্ট ও হাসপাতাল থেকে দেওয়া রিপোর্টের সাথে আসামীদের স্বীকারোক্তির মিল থাকায়।
এই ঘটনায় আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রের আনা দন্ডবিধি ৩০২ ও ৩৪ ধারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অন্যথায় আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত করে আদালত।

এদিকে আসামিদের মধ্যে সাতজন উপস্থিত থাকলেও এখনো পলাতক রয়েছে আরেক আসামি বিরাম খাঁ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর