বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ হাসান চৌধুরী।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনি ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রায়ের নথী হাইকোর্টে আসলে এটি ডেথ রেফারেন্স হিসাবে নথীভুক্ত হয়। এছাড়া আসামিরা কারাগার থেকে জেল আপিল করতে পারেন। হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল সাধারণত একই সাথে শুনানি হয়।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ করা হয়, শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে মারে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
রায়ের আগে চার্জশিটের ৬০ জন সাক্ষির মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।