বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত পৌনে ২টার দেকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
শনিবার সকাল ১০টায় পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাজলিয়া গ্রামে তাঁর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ আসর কুমিল্লা নগরীর টাউনহল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জানাজা। পরে বাদ মাগরিব তাঁকে নগরীর শাসনগাছা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয়।
অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাজলিয়া গ্রামে। তিনি পরিবারসহ কুমিল্লায় বসবাস করতেন। তিনি স্বাধীনতার পর কুমিল্লা জেলার প্রথম প্রশাসক ছিলেন। ৯৭ বছর বয়সী এই নেতা ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনে বৃহত্তর কুমিল্লা-৫ আসনের (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) এমএলএ নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৩ সালে কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রথম নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান। মৃত্যুকালে পাঁচ মেয়ে এবং চার ছেলেসহ আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।